শরীরের চুলকানি কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নিন।
আশা করছি সকলেই ভালো আছেন, শুভেচ্ছা সবাইকে আরো এক নতুন দিনের।আর স্বাগতম জানাচ্ছি নলেজগ্রো এর চুলকানি দূর করা নিয়ে পোস্টে।হাত, পা কিংবা সমস্ত শরীর হঠাৎ করেই চুলকাতে শুরু হতে পারে।প্রায় দিনই হয়তো এমন বিব্রত পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়।এজন্য আমরা স্থানীয় হাতুরী ডাক্তার অথবা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে কোনো একটি ঔষধ কিনে আনি, যাতে আর না চুলকায়।আজকে আপনাদেরকে বলবো কিভাবে কোনো প্রকার ঔষুধ ছাড়া ঘরোয়া প্রক্রিয়ায় চুলকানি কমাবেন।তবে আপনার শরীরে যদি এলার্জি হয়, অর্থাৎ গরুর মাংস বা হাঁসের মাংস খেলে গায়ে গুটি ও চুলকায়, আর এটা পূর্ব হতেই আছে তাহলে আপনি একজন ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করুন।কিন্তু এলার্জি না থাকলে, হঠাৎ করেই যদি মাঝে মধ্যে চুলকানি শুরু হয়ে যায়।তাহলে আর্টিকেলটা আপনার উপকারী হবে এইটুকু বলতে পারি।এজন্য চিন্তিত না হয়ে সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করুন।এই রোগটি সাধারণত কোনো একটা চর্ম রোগের কারণেও হতে পারে।সেক্ষেত্রে চাইলে ভালো চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করতে পারেন।
১. আপনার ত্বকে যদি কোনো প্রকার ইনফেকশন না হয় অথবা সেনসিটিভ থাকে আপনার শরীরের ত্বক তাহলে শরীরে পেট্রোলিয়াম জেলি দিতে পারেন।চুলকানির প্রতিরোধে।আর সবচেয়ে বড় কথা এটার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।তাই এটি ব্যবহারে আপনার ভয়ের কারণও থাকছে না।শীতে ঠোঁট, পায়ের গোড়ালি ফাঁটলে আমরা এটি ব্যবহার করে থাকি।আপনি জেলির এই গুণটাও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।আশানুরূপ ফলাফল পাবেন নিশ্চয়।
২. ভিটামিন সি বা লেবুও অনেকে ব্যবহৃত করে থাকে নিজের ত্বককে চুলকানি মুক্ত করার জন্যে।কারণ এতে ব্লিসিং উপাদান রয়েছে যেটি আমাদের শরীরকে জীবাণু থেকে দূরে রাখে, আর বিভিন্ন চর্ম রোগে কার্যকরী।চুরকানির মূল কারণই হচ্ছে দেহের লোম কূপে জীবাণুর বসবাস।তাই তো লেবুর রস দেহে বা উক্ত স্থানে দিলে একটু সময়ের মধ্যে শরীর সুস্থ হতে শুরু করবে।
৩. জলপাইয়ের তৈল বা নারিকেল এগুলোর তৈল আমাদের শরীরকে নানা রকম চর্ম রোগের বাসা থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।জলপাই তেল দেহে মালিশ করার মাধ্যমে চুলকানির স্থানে লাগানো যেতে পারে।আবার হাত দিয়েও সারা শরীরে এগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দেওয়া যাবে।এইগুলো শরীরের কোনো রোগের কারণ হবে না আমার বিশ্বাস।
৪. অল্প কিছু পানির সাথে বা এক ভাগ পানি আর তিন ভাগ বেকিং সোডা নিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করা যায়।আর এই পেস্টটি দেহে আপনি যদি চুলকালে ব্যবহার করেন তবে আরো চুলকাবে না।এছাড়াও প্রদাহরোধী ঔষধ হিসেবে অ্যালোভেরাও ব্যবহৃত হয়।এর জেল আপনার শরীরে দিলে চুলকানির মতো চর্ম রোগ খুব সহজে নিমিষেই দূর হবে।
তাহলে প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের পোস্টে এখানেই শেষ করলাম।আগামীতে নতুন আলোচনার আর্টিকেলে দেখা হবে।ভালো থাকেন আল্লাহ্ হাফেজ।