স্পীকারের কার্যক্রমঃ অধিকাংশ লাউড স্পীকার হলো চলকুন্ডলী লাউডস্পীকার।এতে থাকে, বেলনাকৃতির একটি স্থায়ী চুম্বক যা শক্তিশালী, চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করা হয়।একটি ছোট কয়েল বা তার কুণ্ডলী হিসাবে ঝুলানো থাকে।এই কুন্ডলীটি মুক্তভাবে দুলতে পারে।তার সাথে শঙ্কু আকৃতির কাগজ লাগানো রয়েছে।যখন শব্দ সৃষ্ট পরিবর্তী তড়িৎ প্রবাহ এ তার কুণ্ডলী দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন তার কুণ্ডলীটি অগ্রপশ্চাৎ যাওয়া আসা করে।এতে কাগজের শঙ্কুটি কম্পিত হয়।ফলে শব্দের উৎপত্তি ঘটে।
* নবম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক ছাত্রদেরকে পরিবাহীতা সম্পর্কে পড়াচ্ছিলেন।এর প্রকারভেদ আলোচনা করার সময় তিনি বললেন, ইলেকট্রনিকসের অভূতপূর্ব উন্নতির জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূণং ব্যবহার হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর।এটি কখনো বিদ্যুৎ পরিবাহী আবার কখনো অপরিবাহীর ন্যায় আচরণ করে।এর ব্যবহার করে এসি ভোল্টেজকে আবার ডিসিও করা যায়।
ক. মডুলেশন কাকে বলে? শব্দ হতে তড়িৎ তরঙ্গে রূপান্তরিত সিগন্যালকে দূরে পাঠানোর জন্য একটি উচ্চ কম্পাঙ্কের বাহক তরঙ্গটির সাথে যুক্ত করা হয়, যে প্রক্রিয়াকে মডুলেশন বলা হয়।
খ. ট্রানজিস্টর ব্যবহারের সুবিধা ব্যাখ্যা কর?
উত্তরঃ এটি ভ্যাকুয়াম টিউবের মতোই কাজ করতে পারলেও এর অধিক সুবিধা রয়েছে যা ভ্যাকুয়াম টিউবের নেই।কারণ এটি অত্যন্ত ও অতি ক্ষুদ্র, এর ওজন খুবই কম, ব্যবহার করতে খুব অল্প বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য এবং এতে কম খরচ হয় তৈরি করতে।
গ. উদাহরণ দিয়ে এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টর তৈরির প্রক্রিয়া লেখো।
সমাধানঃ সাধারণত সেমিকন্ডাক্টরের শেষ কক্ষপথে চারটি করে ইলেকট্রন রয়েছে এবং সেগুলো পরমাণুর সঙ্গে আটকে থাকে।তাপমাত্রা বাড়ালে হয়তো একটা অথবা দুটো ইলেকট্রন এখান থেকে মুক্ত হতে পারে।পরিবাহকে এই মুক্ত ইলেকট্রন থাকে তাই সেটি খানিকটা পরিবাহকের মতোই কাজ করতে পারে।এরকম সিলিকন হচ্ছে একটি সেমিকন্ডাক্টর।এখন সিলিকনের ক্রিস্টালের সাথে ফসফরাসের পরমাণু মিশিয়ে দেওয়া হলো যার শেষ কক্ষপথে পাঁচটি ইলেকট্রন আছে।তখন দেখা যাচ্ছে, ফসফরাসের চারটি সিলিকন পরমাণুর সাথে আবদ্ধ হয়ে যায়।কিন্তু একটা ইলেকট্রন মুক্তভাবেই ঘোরাঘুরি করতে থাকবে।এখন এটি ফসফরাসের পরমাণুতেই থাকতে হবে এমন কোনো দায়বদ্ধতা নেই।তাই এটি পজিটিভ আয়ন বানিয়ে এর মুক্ত ইলেকট্রনের মতো ব্যবহার করে।ফসফরাস মেশানো এরকম সেমিকন্ডাক্টর অনেকটাই পরিবাহী কারণ চার্জ পরিবহনের জন্যে কিছু মুক্ততা থাকে।এই ধরনের মুক্ত ইলেকট্রন বিদ্যুৎ পরিবন করে এজন্য এদেরকে এন টাইপ শ্রেণিভুক্ত করা হয়।
ঘ. শিক্ষকের শেষ বাক্যটির যথার্থতা যাচাই করো?
(ঘ) এর উত্তরঃ Ac ভোল্টেজ সর্বদা নির্দিষ্ট সময় পর পর দিক পরিবর্তন করে কিন্তু ডিসি ভোল্টেজ তার দিক পরিভর্তন না করে একই দিকেই প্রবাহিত হয়।
একটি পিটাইপ সেমিকন্ডাক্টর একটি এনটাইপ এর সাথে যুক্ত করে তার সাথে ব্যাটারি এমনভাবে সংযোগ করা হয়, যেন এটির পজিটিভ অংশটি এন এর সাথে এবং নেগেটিভটি যুক্ত থাকে পি এর সঙ্গে।এখন এনটাইপ সেমিকন্ডাক্টরে ইলেকট্রনের আধিক্য আছে বলে ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্ত খুব দ্রুত ইলেকট্রনগুলোকে নিজের কাছে টেনে নিবে।ফলে n-টাইপের কোনো মুক্ত ইলেকট্রন রবে না।এটা হয়ে যাবে তড়িৎ অপরিবাহী।অনুরূপভাবে নেগেটিভ প্রান্তটি হতে ইলেকট্রন এসে p- এর হোলগুলো ভরাট করে দিবে।ফলে এহোলে অবশিষ্ট না থাকায় এই টাইপের সেমিকন্ডাক্টরটিও বিদ্যুৎ অপরিবাহী হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে সংযোগটিতে কোনো প্রবাহি থাকবে না।আবার, ২য় ক্ষেত্রে ব্যাটারির পজিটিভ অংশ পি ও নেগেটিভ প্রান্ত এনে লাগানো হলো।এবারে ইলেকট্রন ঢুকে যাবে ঋণাত্মক টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে এবং ইলেকট্রনগুলো np জাংশনের দিকে ঠেলে দিবে।ঠিক একইভাবে অপর প্রান্তেও এটির ফলে একটি নতুন হোল তৈরি করতে থাকে এবং সেই হোলগুলো ছুটে যাবে এই জাংশনের দিকে।আর এব্যাপারটা চলতেই থাকবে।অর্থাৎ এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হতে থাকবে।