পেঁয়াজ, সরিষা ও আলুর বীজ বীজ শোধন প্রক্রিয়াঃ
মূলতত্ত্বঃ বীজ শোধন কি? কোনো বীজকে রোগজীবাণী মুক্ত করার পদ্ধতিকে বীজের শোধন করা বলে।বীজের গায়ে অথবা ভিতরে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু বা পোকামাকড়ের ডিম লেগে থাকতে পারে।এগুলো বপনের পরে চারা গজালে সেখানে পোকা আক্রমণ করতে পারে বা সেটা রোগাক্রান্ত হবে।তাই ফসল উৎপাদনের জন্যে সেগুলো শোধন করা অত্যন্ত প্রয়োজন।এই বীজগুলা বিভিন্নভাবে শোধন করা যায়।যথাঃ রাসায়নিকভাবে বিশেষ পদার্থ দ্বারা, গরম পানিতে রেখে, রোদ্রের তাপ দিয়ে, জৈব বালাইনাশক দ্বারা প্রভৃতি মাধ্যম ব্যবহৃত করা যাবে।রাসায়নিক দ্রব্যাদি হচ্ছেঃ ভিটাভ্যাক্স, টিল্ট, ফসটক্সিন ও রসুনের রস ইত্যাদি উপকরণ।
উদ্দেশ্যেঃ ক. রোগমুক্ত এবং জীবাণু ছাড়া সুস্থ বীজ রাখা। খ. ফসলকে বীজবাহিত রোগ হতে সংরক্ষণ করা ও এর মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা।
উপকরণ সামগ্রীঃ বীজ ধোশনকারী বালাইনাশক, টিনের ড্রাম বা হাতলযুক্ত ঘুরানোর উপযোগী ড্রাম, কাঠি বা নিক্তি ও নোট কলম।
কাজের ধারাঃ আলু বা পেঁয়াজের নির্দিষ্ট পরিমাণ বিশুদ্ধ বীজ একটি টিনের পাত্রে নিতে হবে।এর জন্য অনুমোদিত মাত্রার শোধক নিতে হবে।এরপর বীজের সঙ্গে পরিমাণ মতো বালাইনাশক ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।বপনের বেশ কিছু দিন পূর্বে শোধন করা উচিত।যেন অতিরিক্ত সময় না চলে যায়।এবার বীজগুলো সতর্কতার সাথে চাষ করা জমিতে বপন করি।মনে রাখতে হবে এগুলো কোনোভাবেই আহারের জন্য রাখা যাবে না।
সতর্কতাঃ শোধনকৃত বীজ খাবার ফসলের কাছে রাখা উচিত নয়।পশুপাখি যেন সেগুলো খেতে না পারে তা লক্ষ্য রাখতে হবে।বীজে বালাইনাশক মিশানোর সময়ে সঠিক মাত্রা ও উত্তম বালাইনাশক দেখে নেওয়া জরুরি।
* কয়েকটি টব ব্যবহার করে পানিবদ্ধ অবস্থায় ধান চাষের সাথে ঝজও এর তুলনা করঃ-
তত্ত্বঃ প্রচলিত ধান চাষের সাধারণত প্রতি গুচ্ছিতে ৩ বা ৪ টি চারা রোপন করা হয় ও জমিতে সেচ দিয়ে পানি আটকে রাখা হয়।ফলে জমি হতে অধিক হারে মিথেন গ্যাস নির্গত হয়ে যায়, যা বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে বিষ্ণায়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে।এসআরআই বা এক চারা পদ্ধতির ধান চাষে প্রতি গুছিতে মাত্র একটা চারা রোপণ করা হয় এবং জমি থেকে দাঁড়ানো পানি অপসারণ করা যাবে।