প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন।আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভ কামনা ও শুভেচ্ছা জানাছি।ব্লগিং করা কি ও কিভাবে করতে হয়, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গাইড লাইন দেওয়া চেষ্টা করবো ক্ষুদ্র পোষ্টে।তাই ধৈর্য্য নিয়ে পোস্টটি পড়ার অনুরোধ করলাম।
ব্লগিং করা কিংবা একজন ব্লগারের মূল শক্তি হচ্ছে তার মধ্যে যথেষ্ট ধৈর্য্য থাকতে হবে।অযথা লাফালাফি অথবা অধৈর্য্য হলে এই সেক্টর থেকে কখনোই ভালো কিছু আশা করি যাবে না।আর আশাবাদী হলেও সেটা রীতিমতো বোকামি কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়।আমরা এই একুশ শতকে প্রায় সকলেই অনলাইনে কাজ এর পিছনে ছুটেছি।বাঙালি হিসেবে জীবনে একবার হলেও গুগলে সার্চ করেছি " অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা আয় করবো"।কম বেশি অনেকেই বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা ২০২০ এর শুরুর দিকে যখন করোনার প্রকপ বৃদ্ধি পায়, তখন লকডাউনের সময় এই কাজটা করেছে।পড়াশুনা আর স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা যখন অবসর আর বোরিং ও একঘেয়ে ঘরতে বসে সময় কাঁটাতাম।তখন আমরা অনেকেই হাতের ছোট ফোন দিয়ে অনলাইনে টুক্কিটাকি কাজ করার চিন্তা করেছি।এই চিন্তা যে অন্যেকের ব্যর্থ হয়েছে তা কিন্তু নয়।আজ অনেকেই সাফল্য লাভ করেছে এই মোবাইল কিংবা পিসি দিয়ে ছোটখাট কিছু কাজ করে।তাঁরা মাস শেষে বর্তমান সময়ে খুব ভালো টাকা আর্ন করতে পারছে।যেখানে এখনোও কিছু লোক বৃথা ঘুরাঘুরি আর বেকার সময় কাটাছে।এবার বলি কি কারণে তাঁরা বেকার বা অনলাইনে একটা ভালো জব করতে পারছে না?
এক কথাই বলতে হলে আমি বলবো তাদের মধ্যে ধৈর্য্যশীল ও পরিশ্রমী হওয়ার মনমানসিকতা নেই।এইজন্য তাঁরা আজ বেকারত্বের মতো অভিশপ্ত জীবনের দিকে পাড়ি জমাছে।তবে এখনো আলোর পথে আশার সুযোগ কিন্তু তাদের রয়েছে।তারা চাইলেও অন্যদের মতো ব্লগিং কিংবা ফ্রিল্যান্সিং অথবা ইউটুবিং করতে পারবেন।যদিও তাদেরকে এর জন্যে উপযুক্ত হতে হবে আর ধৈর্যশীল হতে হবে।তাহলেই একদিন সফলতার ধার প্রান্তে পৌঁছে, আনন্দময় দিনের প্রতিক্ষায় যেতে পারবে।
উপরের কথাগুলো উপদেশ কিংবা আলোচনা পর্ব যাই বলুন না কেন, কিছু একটা মনে করে ইচ্ছা হলে পড়ুন।এরপর লেখতে ভুল হলে ক্ষমা করবেন।ধীরে ধীরে আমরা মূল আলোচনা করবো, অস্থিরতার কোনো প্রয়োজন নেই।টাকা আয়ের পথ তো অনেক আছে, অফলাইনেও আপনি কাজের বিনিময়ে টাকা পাবেন।অনলাইন কাজ করার সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে পোস্ট লেখার চেষ্টা করবো।আগে আপনাকে অনলাইনের কোন সেক্টরে কাজ করবেন সেটা নির্দিষ্ট করে নিতে হবে।আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হবেন নাকি ব্লগার নাকি ভাইরাল ইউটুবার হবেন সেটাই মুখ্য ব্যাপার।আজকে ব্লগার নিয়ে পোস্ট তাই বাকিদুইটা অন্য একটা পোস্টে রাখবো।ব্লগিং করার উদ্দেশ্য হচ্ছে লেখার মাধ্যমে, আপনার জ্ঞান, আর্টিকেল অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।কন্টেন্ট রাইটিং কি? এই বিষয়টা আপনি নিশ্চয় গুগল থেকে ধারণা পেয়েছেন।তারপর মনে হয় এসেছেন ব্লগার হতে।কারণ যে কন্টেন্ট বা আর্টিকেল বা পোস্ট লেখতে না জানে সে কখনোই সেগুলো না শিখলে একজন ব্লগার হতে পারবে না।আপনি শুধু এসইও পারেন, কিন্তু আর্টিকেল রাইটিং পারেন না।তাহলে কিভাবে একটা ওয়েবসাইটে আপনি এগিয়ে নিয়ে যাবেন..?
ভিজিটররা আপনার সাইটে কি প্রয়োজনে আসবে ভাই।সেটা আপনাকে জানতে হবে আর গুগলে লোকজন কি কীওয়ার্ড সার্চ করে সেটাও জানতে হবে।এরপর সেইরকম কন্টেন্ট কিংবা পোস্ট আপলোড দিতে হবে।গুগল এডসেন্স নিয়েই মূলত একজন ব্লগারের পথ চলা শুরু।যদিও অনেক পুপুলার ব্লগার ভাইরা এডসেন্সের পাশাপাশি তাদের সাইটে ইজুয়িক ব্যবহার করে থাকে।এটিও গুগল এডসেন্সের মতো একটা নেটওয়ার্ক কোম্পানি।ভালো সিপিসি দেয় বলে অনেকেই এটা তাদের ব্লগ কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে।
এবার আপনি কি ধরনের সাইট খুলবেন সেটি নির্ধারিত করুন।ব্লগ নাকি ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা অন্য কোনো প্লার্টফর্মে।আপনি চাইলে এরকম প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইটও তৈরি করতে পারবেন।তবে এক্ষেত্রে ডোমেইন ও হোষ্টিং এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।তাই নতুনদের জন্য ব্লগস্পটে একটা ব্লগ সাইট খুলাই উত্তম হবে।এতে করে প্রথম অবস্থাই খরচ নেই।কারণে সেখানে একদম ফ্রিতেই হোস্ট ও সাবডোমেইন পাচ্ছেন।এরপর খরচ করাতে চাইলে যেকোনো কোম্পানি হতে কাস্টম ডোমেইন সেটআপ করতে পারবেন।সুবিধা হচ্ছে কোনো ঝামেলা বা হোস্টের দরকার নেই।তাই অনেক ব্লগারের স্বপ্নের শুরু হয়েছে এমন একটা ব্লগস্পটের সাব ডোমেইন দিয়ে।এতেও যথেষ্ট ইউনিক ও কোয়ালিটিফুল আর্টিকেল হলে সাব ডোমেইনে আপনি পাবে এডসেন্স।ধরুন একটা সাইট তৈরি করা শেষ, এবার কাজগুলো কি কি সেটা ধাপে ধাপে বলে দিচ্ছিঃ
১. প্রথমে সাইটটিকে একটু নিজের মতো করে ডিজাইন করে সাজিয়ে নিন।হোমপেইজে কয়টা পোষ্ট রাখবেন, রিসেন্ট পোষ্ট সো, জনপ্রিয় তকবা, ক্যাটাগরি, দরকারি পেইজ সমূহ, মেনুবার প্রভৃতি।এইগুলো আপনি সেটিংস থেকে সহজেই করে নিতে পারবেন।এরপর একটা এসইও ফ্রেন্ডলি ও লোডিং টাইম কম নিবে এমন একটা থীম দিবেন।তবে নিজের কাছে ভালো লাগে এমন থীমও ব্যবহার করতে পারবেন।এসইও এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি হলে কোনো রকম সমস্যা নেই।শুধু দেখবেন থীমে যেনো অবৈধ বা ভেজাল কিছু না থাকে।
২. এবারের কাজ হচ্ছে ব্লগারে পোস্ট অর্থাৎ কন্টেন্ট আপলোড দেওয়া।তবে এর আগে আপনাকে about us, contact us, disclimar প্রভৃতি দরকারী পেইজ তৈরি করতে হবে।আর একটা সাইটম্যাপ তৈরি করা।তবে অবশ্যই আর্টিকেলগুলো ইউনিক ও হাই কোয়ালিটি করার চেষ্টা করবেন।কারণ এতে করে আপনার কাজ একটু এগিয়ে যাবে।চেষ্টা করবেন পোষ্টে শব্দের সংখ্যা ৫০০ এর বেশি রাখার।সবচেয়ে ভালো হবে, ১হাজারের একটু বেশি শব্দের পোস্ট লেখে আপলোডের।
৩. এখন আর্টিকেল পাবলিশ করলেই ব্লগারের কাজ কিন্তু শেষ নয় মশাই, অস্থির হয়ে ওঠেছেন নাকি? জেগে থাকেন ভাই।এই পোস্ট গুগলে ইনডেক্স করাতে হবে।এই জন্য robots.txt এইটা তৈরি করে নিবেন।ব্লগস্পটে সাইটম্যাপ ও এই ফ্যাইলটা কিভাবে তৈরি করতে হয় তা গুগল করে জেনে নিন।তবে ওয়ার্ডপ্রেসে কিন্তু এগুলো প্লাগিন দিয়েই করা যায়।আর পোস্ট ইনডেক্সিং এর জন্য একটা কাজের কাজ হলো গুগল নিউজ।এটির মাধ্যমে ভালোভাবে ইনডেক্সিং করতে পারবেন যেকোনো পোস্ট কম সময়েই।
৪. পোস্ট ইনডেক্সের ধাপ শেষ, আসেন একটু ঘুমিয়ে নেওয়া যাক।মজা আর আনন্দ নিয়ে ব্লগিং এ লেগে থাকতে হবে মশাই।না হলে তো বিরক্তিকর মনে হবে কাজটাকে।প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টা উচ্চ মানের লেখা সম্পন্ন করে সব ইনডেক্স করাতে পারলেই আপনার সাইট বলবো এডসেন্সে এপ্লাইয়ের জন্য উপযুক্ত।তাহলে আবেদন করে ফেলুন।এরপর দুই একদিন পরপর পোষ্ট করে সাইট আপডেট রাখুন।কারণ নাহলে গুগল ভাবে আপনি ঘুমিয়ে গেছেন।
যাইহোক আজ এখানেই আলবিদায়।আবার অন্য একদিন বলবো কথা আরো নতুন কথার।আমার জ্ঞান অতি স্বল্প তাও চেষ্টা করেছি নিজেরটুকুই তুলে ধরার।আপনাদেল ব্লগিংএ আগ্রহী করার।জানি না পেরেছি কিনা।মন্তব্য করে যেতে পারেন।