শীতের শুষ্কতা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদেরকে অবশ্যই বেশি বেশি ত্বকের যত্ন নিতে হবে । শীত মানুষের ত্বকের শুষ্কতা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে ফলে ত্বক হয় রুক্ষ সুক্ষ ও খসখসে। শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন? জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়ুন।
শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা এবং খসখসে ভাব দূর করে কিভাবে ত্বককে মসৃণ ও তরতাজা রাখা যায়। আমি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু টিপস সহ বিস্তারিত আলোচনা করব।
শীতে ত্বকের যত্ন
সানস্ক্রিন ক্রিমঃ শীতকালে সূর্যের তাপ আমাদের খুবই মিষ্টি লাগে। কিন্তু আমরা জানি না অতিরিক্ত সূর্যরশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সেজন্যে বাহিরে বের হলেই সানস্ক্রিন প্রটেক্ট ক্রিম, ছাতা, বা ক্যাপ ব্যবহার করা উচিত। সানস্ক্রিন ব্যবহার রোদের তাপমাত্রা এবং বাতাসের আদ্রতা দূর করে ত্বককে রাখবে লাবণ্যময়।
ঠোঁট সুরক্ষাঃ শীতের উস্কো শুষ্ক ঠান্ডা বাতাসে প্রতিটা মানুষের ঠোট ফাটে। অনেকে জিব্বা ঠোঁটে ঘন ঘন নাড়াচাড়া করি যাতে ফাটা ঠোঁটের রক্তক্ষরণ বন্ধ ও ঠোঁটকে ভিজিয়ে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করি। ঠোঁট ফাটার আগে আমাদের ঠোঁট সুরক্ষিত রাখাতে হবে।
বিভিন্ন কোম্পানির পেট্রোলিয়াম জেলি যেমন ভেসলিন, তিব্বত ক্রিম, লিপজেল ব্যবহার করতে পারি।
গোসলঃ শীতকাল আসলে অনেকেই আছি যারা গ আছেন যারা ঠান্ডা পানি ছেড়ে গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। কিন্তু বেশি গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আপনারা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করবেন তাহলে আপনারা নিয়মিত গোসল করলে।
কোমল ত্বকের আর্দ্রতাঃ শীতের হিমেল হাওয়ার উঁকিতে ত্বতের ময়েশ্চারাইজড কমতে কমতে ত্বতের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে চাইলে নিকটস্থ দোকান থেকে ময়েশ্চারাইজড তেল শীত আসার আগে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এগুলোর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতা ফিরে আসে।
পায়ের ক্ষতঃ শীতকাল আসলেই পা ফাটার সমস্যাটি দেখতে পাওয়া যায়। তাই কিভাবে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন তা এখন আমি আপনাদেরকে বলে দিব। শীতে যাদের পায়ে ক্ষত দেখা দেয় তারা খুব সহজে পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ছোট্ট একটি কাজের মাধ্যমে।
শীত আশার আগে বাজার থেকে স্যাভলন কিনে রাখবেন। তারপর এক থেকে দুই ফোঁটা স্যাভলন ৮ থেকে ১০ ফোঁটা পানির সঙ্গে মিশিয়ে আপনারা পায়ে সুন্দর করে মালিশ করবেন। এভাবেই বেশ কয়েকদিন ব্যবহার করার পরে দেখবেন আপনার পা ফাটা সেরে গেছে। এছাড়াও আপনার গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারবেন।